বিজ্ঞাপন
রোববার (২৯ জুন) ভোরে রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধেও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই রাতে গ্রামের ফজর আলী (৩৮) নামে এক ব্যক্তি একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ফজর আলীকে আটক করে মারধর করেন। পরবর্তীতে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার সময় উপস্থিত কিছু লোক ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং পুলিশের ওপর চাপ বাড়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার এবং ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে ওই নারী স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন। ঘটনার রাতে আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী ওই নারীর বাবার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন।
ওই নারী আরও জানান, কিছুদিন আগে টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় গড়ে ওঠে। সেই সূত্রেই তিনি বাড়িতে প্রবেশের সুযোগ পান।
পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। পরে গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা এবং ওই নারী অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “ঘটনার পর ফজর আলীকে আটক করে মারধর করা হয় এবং পরে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান।”
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার পাশাপাশি ভুক্তভোগীর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
চলমান তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল ও বিচারের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...