বিজ্ঞাপন
দেশটির জাতীয় ও প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, গত ৩৬ ঘণ্টায় আকস্মিক বন্যা এবং ঘরবাড়ির ছাদ ধসে অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন শিশু রয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সোয়াত উপত্যকা, যেখানে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দেয়াল ও ছাদ ধসে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যেও ৮ জন শিশু রয়েছে, যা এই দুর্যোগে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে—সে বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলেছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বর্ষণ অব্যাহত থাকায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে সতর্ক অবস্থায় থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং নিচু এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ চলছে।
এর আগে, গত মাসে পাকিস্তানে বসন্তকালীন একাধিক চরম আবহাওয়ার ঘটনায় এবং তীব্র ঝড়ে আরও ৩২ জন নিহত হন। সেই সময় তীব্র শিলাবৃষ্টিও দেখা দেয়, যা কৃষি খাতসহ নানা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাকিস্তান বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ২৪ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই দেশটি ক্রমাগত চরম আবহাওয়ার ধাক্কায় পড়ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে।