ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা ছড়িয়ে দেওয়া, সমাজে শান্তি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং মূল্যবোধের বিকাশে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন:
“আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই—যেখানে মসজিদ হবে জ্ঞানের কেন্দ্র, আর ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারি। সমাজ পরিবর্তনে ইমামদের সংগঠিত ও প্রশিক্ষিত করা সময়ের দাবি।”
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য অর্জন করছে, তা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। এই আলোকবর্তিকা ছড়িয়ে দিতে ইমামদের প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণে কোটি টাকার সহায়তা
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৩,১৯৭ জন ইমাম-মুয়াজ্জিনের মাঝে মোট ৩৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণ ও অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে:
উদ্যোক্তা ঋণ: ১৭ কোটি টাকা
এককালীন অনুদান: ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিতরণ: ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা
পুরস্কার ও সম্মাননায় সম্মেলন উদ্ভাসিত
সম্মেলনে জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং খামারি ইমামদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ে: ৩ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম
বিভাগীয় পর্যায়ে: ২৪ জন
জেলা পর্যায়ে: ১৯২ জন
শ্রেষ্ঠ খামারি ইমাম: ৬৪ জন
এদের সবাইকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা পুরস্কার:
প্রথম: ২ লাখ টাকা
দ্বিতীয়: ১.৫ লাখ টাকা
তৃতীয়: ১ লাখ টাকা
সিরাত প্রতিযোগিতা পুরস্কার:
প্রথম: ৫০,০০০ টাকা
দ্বিতীয়: ৪৫,০০০ টাকা
তৃতীয়: ৪০,০০০ টাকা
দোয়া ও মোনাজাতে শেষ হয় মহামিলন
অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, এবং অন্যান্য বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও কর্মকর্তারা।
-এমকেএস