বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারকগণ। এদিন আদালতে শহীদ আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার মুহূর্তের ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। এরপর ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
আলোচনা ও প্রাথমিক প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ সময় মামলায় ইতোমধ্যে কারাগারে থাকা চার আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। আগামী ১০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা চারজন আসামি হলেন- সরাসরি গুলি চালানো পুলিশ সদস্য আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেরোবি ক্যাম্পাসে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। অস্ত্রের মুখে দুহাত প্রসারিত করে দাঁড়ানো নিরস্ত্র সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
এই ঘটনা গোটা দেশে ছাত্র ও জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়। আন্দোলন হয়ে ওঠে আরও তীব্র ও সংঘবদ্ধ। শহীদ আবু সাঈদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ কোটি মানুষের স্বৈরাচারবিরোধী চেতনার প্রতীক হয়ে ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ১৬ বছরের একচ্ছত্র শাসনের পতনের সূচনা ঘটে সেই দিন থেকেই।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...