বিজ্ঞাপন
আহত হোসনে আরা বেগম আওয়ামী লীগ নেতা, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খান ওরফে কামাল কোম্পানির মা।
ভুক্তভোগীর ছেলে মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনার সময় তার মা ঘরে একা ছিলেন। তিনি এবং তার স্ত্রী তখন বাড়ির বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মায়ের মাথায় তিনটি কোপ দেয়। পরে তার দুই কান ছিঁড়ে নেয় এবং শরীরে থাকা প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও বিছানার নিচে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তার ভাতিজা সালমান এসে ঘরের সামনে কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় দাদিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে হোসনে আরাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
মাইন উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “এটি কোনো সাধারণ চুরি নয়, পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত একটি ডাকাতির ঘটনা। আমার মা সবসময় গায়ে স্বর্ণালংকার পরতেন, এ বিষয়টি পূর্বপরিচিত কারো জানা ছিল।”
এ বিষয়ে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, “খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ২-১ জন ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সম্ভবত ভুক্তভোগী কাউকে চিনে ফেলায় তাকে আঘাত করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
নোয়াখালী প্রতিনিধি, গিয়াস রনি।