বিজ্ঞাপন
নিহতদের মধ্যে একজন কেএনএ’র সামরিক কমান্ডার বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে এসএমজি, রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহতদের নাম ও পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
আইএসপিআরের ভাষ্যমতে, বৃহস্পতিবার ভোরে রুমা উপজেলার একটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে কেএনএ’র গোপন ঘাঁটিতে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এতে কেএনএ’র সামরিক শাখার দুই সদস্য নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সাবমেশিন গান (এসএমজি), ১টি রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনী ধারণা করছে, ওই গোপন ঘাঁটির আশপাশে এখনো কেএনএ’র সক্রিয় সদস্যরা অবস্থান করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ মে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী রোনিন পাড়া ও পাইক্ষ্যং পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছিলেন। ওই সময়ও কেএনএফের সশস্ত্র শাখার গোপন অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।
এদিকে, বান্দরবানের রুমা উপজেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির ফলে সম্প্রতি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ১২২টি বম পরিবার তাদের নিজ আবাসে ফিরে এসেছে। গত ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রুমার সুসুং পাড়ায় এসব পরিবার পুনর্বাসিত হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় ফেরত আনা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
সেনা অভিযান এবং সম্প্রদায় পুনর্বাসনের এই ধারাবাহিকতা পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পথে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।