ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন—রুবি আক্তার, তার মেয়ে জোনাকী এবং ছেলে রাসেল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ওই দিন সকালে রাসেলের পরিবারের চার সদস্যকে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রুবি, জোনাকী ও রাসেল প্রাণ হারান। পরিবারের আরেক সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
খবর পেয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, "খোঁজ নিয়ে যতটুকু জেনেছি, নিহত পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনাটি সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। গণপিটুনিতে তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন এবং একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।"
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, “ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”