বরগুনা প্রেসক্লাবে জমি দখল ও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের দৃশ্য।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী এক পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় এসব ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও কলেজ শিক্ষার্থী আয়শা লিমা। তিনি জানান, জনৈক বেল্লাতের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু করলে স্থানীয় প্রভাবশালী খলিলুর রহমান পুলিশ নিয়ে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্মাণাধীন ঘরে হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর, লুটপাট এবং ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা চার লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং দুইজন অভিযুক্তকে আটক করলেও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সুপারিশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আয়শা লিমা আরও অভিযোগ করেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় তাদের পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমনকি মা-মেয়েদের ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ইউএনওকে জানালে তিনি অভিযুক্তদের সতর্ক করেন। এরপরও ১ জুলাই তার মায়ের অনুপস্থিতিতে ফের হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন ঘরের রড, সিমেন্ট ও গাঁথুনি ভেঙে লুটপাট চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বরগুনা সদর থানায় তার বাবা মো. আবুল কালাম অভিযোগ দিলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি। তিনি দাবি করেন, তাদের বৈধ জমির মালিকানা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও পুলিশের ভূমিকা তদন্তেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বরগুনার পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া অভিযোগে নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ-ছয়জনকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মো. খলিলুর রহমান, তার তিন ছেলে, কয়েকজন প্রতিবেশী এবং স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আয়শা লিমার বাবা মো. আবুল কালাম, বোন হাফছা আক্তার চাঁদনী এবং জমি বিক্রেতা বেল্লাত।