ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৫ জুলাই) দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে উপদেষ্টা জানান, ফেরত আসা তিন বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারদের মধ্যে যারা দেশে ফিরবেন, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত ২৪ এপ্রিল থেকে সেলাঙ্গর ও জোহর অঞ্চলে তিন ধাপে অভিযান চালিয়ে এসব বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে মালয়েশিয়ার পুলিশ ৩৬ জনকে আটক করে, যাদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ-বিষয়ক ৬এ অনুচ্ছেদের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই পাঁচজনকে শাহ আলম ও জোহর বাহরুর দায়রা আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বাকি ৩১ জনের মধ্যে ১৫ জনকে মালয়েশিয়া থেকে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আটক ব্যক্তিরা বাংলাদেশ ও সিরিয়ায় আইএস (ইসলামিক স্টেট) সদস্যদের অর্থায়নে জড়িত ছিলেন। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি শ্রমিকদের ঘিরে গড়ে ওঠা একটি আইএস নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে।
এই ঘটনায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত অন্যান্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের প্রতি নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।