প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
এই দিনে ইসলাম ও মানবতার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ আজও সকলের জন্য প্রেরণার উৎস।
বাণীতে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে শাহাদতবরণকারী সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, ইসলাম একটি সত্য, ন্যায় ও শান্তির ধর্ম। এই মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার ময়দানে হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সাহাবিগণ ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। তাঁদের এই আত্মত্যাগ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অনন্য উদাহরণ হয়ে চিরকাল ইতিহাসে অম্লান থাকবে।
প্রফেসর ইউনূস আশুরার বহুমাত্রিক তাৎপর্যের কথা তুলে ধরে বলেন, “পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, রাসুল (সা.) এ দিনে দুটি রোজা রাখার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া এ দিনে পৃথিবী সৃষ্টিসহ নানা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাও সংঘটিত হয়েছে।”
তিনি এ দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে বেশি বেশি নেক আমলের আহ্বান জানান এবং বলেন, “সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। পাশাপাশি আমি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করছি।”
পবিত্র আশুরা মুসলমানদের জন্য শুধু শোকের নয়, বরং তা আত্মশুদ্ধি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ন্যায়ের পথে দৃঢ়তার প্রতীক—এ কথাও তাঁর বাণীতে প্রতিফলিত হয়েছে।