ভোরের বাণী
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে প্রশ্ন উঠলেও, সরকার তা নিয়ে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা করছে না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, “বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে বলে আমরা মনে করি না।”
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়—তাদের কর্মকাণ্ড, নেতৃত্ব ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক প্রমাণ জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, “এই দলটি বছরের পর বছর ধরে দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচনী স্বচ্ছতা এবং আর্থিক খাতকে ধ্বংস করেছে। তাদের নেতারা ব্যাংক লুট করেছে এবং বিশাল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। এসব অপরাধের দায়ে এমন নিষেধাজ্ঞা সময়োপযোগী ও ন্যায়সঙ্গত।”
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও ইতালি ফ্যাসিস্ট ও নাৎসি দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে। এমনকি স্পেন ও বেলজিয়ামেও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমের জন্য কিছু রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। “সুতরাং, জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী জুলাই আন্দোলনের কর্মী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণা প্রয়োজনীয় ছিল,” তিনি বলেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে প্রেস সচিব স্পষ্ট করেন, “গণতান্ত্রিক বিশ্বে কেউ এই নির্লজ্জ, খুনি ও দুর্নীতিগ্রস্ত দলের পক্ষে কথা বলবে না।”
তিনি জানান, এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র ও ন্যায়ের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে স্পষ্ট বার্তা দেবে যে বাংলাদেশ আর সহিংসতা ও দুর্নীতির আশ্রয়দাতা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে ছাড় দেবে না।