বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত টানা সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয় নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া এবং মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া ও সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত মিলগুলোতে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার। অভিযানে অবৈধ মজুদের অভিযোগে মোট ৬টি চালকল ও অটো রাইস মিলকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানার বিস্তারিত: মহাদেবপুরের চকগৌরী এলাকায় অবস্থিত জিহাদ চাল কলকে অবৈধভাবে ধান মজুদের অভিযোগে ১ লাখ টাকা জরিমানা, সরস্বতীপুর এলাকার এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনিটকে আতপ চালের প্যাকেটে অতিরিক্ত মূল্য লেখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, হাট চকগৌরী এলাকার লাইলি চাল কলকে অবৈধ মজুদের জন্য ১ লাখ টাকা জরিমানা, চৌমাশিয়া এলাকার রাকিব চাল কলকে অবৈধ মজুদের অভিযোগে ২ লাখ টাকা জরিমানা, মিলন ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা, কুলসুম চাউল কলকে ৫০ হাজার টাকা এবং শহরের যুব উন্নয়ন এলাকায় অবস্থিত টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, “গত কিছুদিন যাবৎ ধান ও চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে ছয়টি মিলে খাদ্য আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার জানান, “অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যদি খাদ্য আইনের ৪ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে অভিযুক্তদের জেল পর্যন্ত হতে পারত। আমরা সবাইকে সতর্ক করেছি—এবারও যদি অবৈধ মজুদ পাওয়া যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি, এই অভিযান বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ধান-চালের দাম স্বাভাবিক হবে।”
এই অভিযানে সেনাবাহিনীর সদস্য, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, খাদ্য বিভাগ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক - মোঃ মিজানুর রহমান, নওগাঁ।