ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে তারা যমুনা টেলিভিশনের সামনে অবস্থান নিতে চাইলেও পুলিশ বাধা দেয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জলকামান থেকে পানি ছোড়ে এবং কমপক্ষে ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করতেও দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে আন্দোলনকারীদের ধীরে ধীরে কাকরাইল থেকে মৎস্যভবনের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। পাশাপাশি তিনি তাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে আলোচনার আহ্বানও জানান। তবে আন্দোলনকারীরা উক্ত আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সেখানেই অবস্থান নেন, যার পরই শুরু হয় পুলিশি অভিযান।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সকালে বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে যমুনা টেলিভিশনের উদ্দেশে একটি মিছিল নিয়ে যাত্রা করেন। কাকরাইল মসজিদ মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়, এবং পরে তারা সেখানেই অবস্থান শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো—
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুনর্বহাল করা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল।
বিডিআর-এর পুরোনো নাম পুনর্বহাল এবং কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে অবিচার ও বৈষম্যের শিকার। এ অবস্থায় তাদের জীবন-জীবিকা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে দ্রুত সমাধানের পথে অগ্রসর হতে।
ঘটনার পর পুরো কাকরাইল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।