প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
তার দাবি, চলতি বছরের জুন মাসের উপাত্ত অনুসারে, দেশের পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়ে ৮.৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত বছরের আগস্টের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ পয়েন্ট কম।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে। জুন ২০২৫ মাসের উপাত্ত অনুযায়ী পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় ২ শতাংশ-বিন্দু কম।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। তার ভাষায়, “খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়ে ৭.৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পেতে শুরু করেছে এবং আগামীতে তা খুব দ্রুত কমে আসবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে। তবে তারা সতর্ক করে বলছেন, মূল্যস্ফীতির এই ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে হলে আগামী মাসগুলোতেও একই ধরনের নীতিকৌশল অব্যাহত রাখতে হবে।
অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছে, বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্যের নিম্নগতি, ডলার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগ মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
সরকারি পর্যায়ে এই স্বস্তির খবরের পর সাধারণ ভোক্তারাও আশান্বিত হচ্ছেন। তবে তারা চায়, বাজারে এই পরিবর্তনের বাস্তব প্রতিফলন যেন দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে দ্রুত দেখা যায়।
মূল্যস্ফীতি কমার এই ধারা অব্যাহত থাকলে তা দেশের সার্বিক অর্থনীতি ও নাগরিক জীবনে উল্লেখযোগ্য স্বস্তি বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...