বিজ্ঞাপন
চিঠিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কহার ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হবে। তবে ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
চিঠিতে ট্রাম্প লেখেন,
“বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতের বাণিজ্য আরও ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ হবে।”
এছাড়া তিনি আরও উল্লেখ করেন,
“বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদন করে, তবে কোনো শুল্ক দিতে হবে না। তবে শুল্ক কমালেও পণ্যের মান ও উৎপত্তি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।”
চিঠির আরেক অংশে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন,
“যদি বাংলাদেশ পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়ায়, তবে সেই শুল্ক সরাসরি যুক্ত হয়ে যাবে বর্তমান ৩৫ শতাংশের সঙ্গে। আমাদের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের শুল্কনীতি সংস্কারের জন্যই নেওয়া হয়েছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন,
“বাংলাদেশ যদি মার্কিন বাজারে প্রবেশে শুল্ক ও অন্যান্য বাধা কমাতে চায়, তবে ভবিষ্যতে শুল্ক আরও কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র কখনোই বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে অবহেলা করবে না।”
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, যা কার্যকর হয় ৯ এপ্রিল থেকে। পরবর্তীতে বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতার কারণে এই শুল্ক ৩ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। এর আগেই নতুন সিদ্ধান্তের ঘোষণা এল।