ছবি-পুলিশ সুপার আবু নাসের
বিজ্ঞাপন
কারন, এখন আর সেই বাংলাদেশ নেই, পাঁচ আগষ্টের পর নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে।"
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় তৃনা কমিউনিটি সেন্টারে "মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ওপেন হাউস ডে" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন "অপরাধকারীসহ ওই অপরাধে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে"। অপরাধী যেই হোক না কেন কাউকে কোন ছাড় নয়।"
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, "আমার দায়িত্ব কেবল পিরোজপুর জেলায় বসে মনিটারিং নয়। জেলার সাতটি থানার দায়িত্ব আমার। তাই আমি প্রতিটি থানার দুর্ঘম এলাকায় গিয়ে মানুষের কথা শুনতে চাই। যে সব এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি হচ্ছে থানার পুলিশকে জানাবেন। থানার ওসি ব্যবস্থা না নিলে সরাসরি যেকোন সময় প্রয়োজনে আপনার নাম পরিচয় গোপন রেখে আমার মোবাইলে কল অথবা ম্যাসেজ দিবেন। আমার ফেন নাম্বার সবসময় ওপেন থাকে। আপনার ম্যাসেজ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। কারন, মাদক সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্সে থাকি।
তিনি আরো বলেন, কোন মাদককারবারীর পক্ষে যদি কোন রাজনৈতিক নেতার সুপারিশ বা তদবির থাকে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবেনা।"
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বনি আমিনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ সার্কেল) সাবিহা মেহেবুবা, পৌর বিএনপি'র আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ, উপজেলা বিএনপি'র সিনিয়র যুগ-আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার, জামায়াতে ইসলামী নেছারাবাদ উপজেলা শাখার আমীর মো. আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ, স্বরূপকাঠী পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো. জহিরুল ইসলাম, স্বরূপকাঠী প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
-নাছরুল্লাহ আল কাফী, পিরোজপুর প্রতিনিধি