Logo Logo
বাংলাদেশ

পাইকগাছায় ১১০ বিঘা সরকারি খাল আত্মসাতের চেষ্টা


Splash Image

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ১৬টি গ্রামের পানি সরবরাহের একমাত্র প্রবাহমান খাস খালটি জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যক্তিমালিকানা দেখিয়ে দখলের অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন


৩৬.৪৫ একর বা ১১০ বিঘার এই সরকারি খালটি সম্প্রতি নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মনোহর মন্ডল নামে দুই ব্যক্তি নিজেদের নামে দাবী করে মাছ চাষ শুরু করতে গেলে, এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারাবাদ ও ভৈরবঘাটা মৌজার মধ্যে থাকা খালটি রামচন্দ্রনগর এবং নাবা গ্রামের মৃত অতুল কৃষ্ণ মন্ডলের দুই ছেলে নির্মল ও মনোহর মন্ডল ১৯৮৬ সালে নিজেদের মধ্যে বাদী-বিবাদী হয়ে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। ১৯৯০ সালে তারা রায় পেলেও মামলায় সরকারকে বিবাদী করা হয়নি। অথচ বর্তমানে রেকর্ড অনুযায়ী খালটি সরকারের নামে নিবন্ধিত রয়েছে।

এ নিয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। কপিলমুনি ইউপির কাজিমুছা গ্রামের মৃত এরফান আলী খার ছেলে মোঃ আশরাফ আলী খা বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, ৪ জন ইউপি সদস্যসহ এক হাজার মানুষের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র খুলনা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে জমা দেন। বিষয়টি জানার পর সরকারের পক্ষ থেকে খুলনা জেলা প্রশাসক এ বিষয় নিয়ে আদালতে দেওয়ানি মামলা করেছেন।

খালটি বারুইডাঙ্গা, শ্যামনগর, মালথ, কাজিমছা, নাবা, সলুয়া, প্রতাবকাটি ও কামারাবাদসহ মোট ১৬টি গ্রামের কৃষিকাজ ও মাছ ধরার একমাত্র পানির উৎস। স্থানীয়রা জানায়, নির্মল ও মনোহর মন্ডল সম্প্রতি খালের দু’মাথায় বাঁধ দিয়ে দখলের চেষ্টা করলে, শত শত মানুষ প্রতিবাদ জানিয়ে সেই বাঁধ কেটে দেয়।

মালথ গ্রামের মজিদ মোড়ল বলেন, “খালটি দখলের কোনো অপচেষ্টা করলে আমরা আইন নিজের হাতে নিতে বাধ্য হবো।” তিনি জালিয়াতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন জানান, “আমি ছোটবেলা থেকেই দেখছি এই খাল উন্মুক্ত। এর মাধ্যমে অন্তত ১৪-১৫টি গ্রামের পানি সরবরাহ হয়। সরকার কখনো এটি ইজারা দেয়নি। এখন একটি চক্র জাল কাগজপত্র বানিয়ে দখলের চেষ্টা করছে।”

অপরদিকে অভিযুক্ত নির্মল মন্ডল দাবি করেন, “আমরা আদালতের রায় পেয়ে জমিতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতে গিয়েছি।”

তবে সরকারি পক্ষ থেকে বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম বলেন, “এরমধ্যে বহুল আলোচিত নাছিরপুর খাল অবমুক্ত করেছি। এটাও তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি খাল কেউ অবৈধভাবে দখলে রাখতে পারবে না।”

স্থানীয়দের ভাষ্য ও প্রশাসনিক নথিপত্র অনুযায়ী, এটি একটি প্রবহমান সরকারি খাল। এলাকাবাসীর জোরালো দাবি, দ্রুত তদন্ত করে খালটি উন্মুক্ত করে চিহ্নিত দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিবেদক - আসাদ ইসলাম, পাইকগাছা, খুলনা।

আরও পড়ুন

তেঁতুলিয়ায় অ্যাডিশনাল ডিআইজির মতবিনিময় সভা
তেঁতুলিয়ায় অ্যাডিশনাল ডিআইজির মতবিনিময় সভা
অমুসলিম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কি ইসলামে জায়েয? জেনে নিন স্পষ্ট বিধান
অমুসলিম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কি ইসলামে জায়েয? জেনে নিন স্পষ্ট বিধান