ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শাহ পরান ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই বলে জানা গেছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার পর গত ৬ জুলাই পুলিশ শাহ পরানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ৩ জুলাই বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে র্যাব শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং ৫ জুলাই আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে। ওই রাতে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক নারী ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয়রা ফজর আলী নামে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এরপর ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুন মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলায় রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ফজর আলীকে। অন্যদিকে, পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মো. সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৮ জুলাই মঙ্গলবার, পর্নোগ্রাফি মামলার চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে দুজন রিমান্ডে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও আদালতে তা প্রদান করেননি। পরে চার আসামিকেই আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেপ্তারের আগে তাকে স্থানীয়রা মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। ওসি জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ফজর আলীর শারীরিক অবস্থা এখনও শোচনীয় এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তাকে সুস্থ হতে কমপক্ষে দুই মাস সময় লাগবে। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এ মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় আরও তথ্য উদ্ঘাটনে জোর তদন্ত চলছে।