ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
আজ (বৃহষ্পতিবার, ১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের একাদশ বৈঠকে প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রথম পর্যায়ের দুই মাসের আলোচনায় অনেক বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির পথে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে রাষ্ট্র সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়গুলোতে একমত হওয়ার।”
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো জুলাই মাসেই একটি জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা এবং রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার প্রক্রিয়াকে বেগবান করা। আমাদের এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রাষ্ট্র গড়তে হবে, যেখানে ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ না থাকে।”
অধ্যাপক রীয়াজ জানান, কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মূল উদ্দেশ্যে কোনো মতভিন্নতা নেই। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সকলের সহযোগিতায় জুলাইয়ের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে।
আজকের বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু—প্রধান বিচারপতির নিয়োগপ্রক্রিয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান—নিয়ে গভীর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।