বিজ্ঞাপন
সৈকতের লাগোয়া বেরিবাঁধ ও সুরক্ষা বাঁধের উপরে গড়ে উঠেছে শত শত টিন ও পলিথিনে মোড়ানো ঘর, যা পরিবেশ ও সৌন্দর্য দুইই নষ্ট করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে কয়েক হাত জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছিল ছোট একক কিছু ঘর। পরে সেগুলো বাড়িয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন দোকান ও খাবারের স্টল। ফলে পর্যটকদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়াসহ দৃষ্টিকটুতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব অবকাঠামো।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সাকিব আহমেদ জামাল বলেন, “ঘরগুলো যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সৈকতের সঙ্গে এগুলোর কোনো সামঞ্জস্য নেই। এমন অপরিকল্পিত অবকাঠামো সৌন্দর্য নষ্ট করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, “ঝুপড়ি ঘরগুলো পরিকল্পনাহীনভাবে গড়ে উঠছে। এতে কুয়াকাটার সার্বিক সৌন্দর্য যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি পর্যটকদের জন্য পরিবেশটাও অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। যদি এসব ব্যবসায়ীকে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে পুনর্বিন্যাস করে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে সাগরের পরিবেশ রক্ষা পাবে।”
পর্যটন বিশ্লেষকদের মতে, কুয়াকাটা এখনও একটি সুগঠিত মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আসেনি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব, নিয়মিত তদারকির ঘাটতি ও স্থানীয়ভাবে জমি ভাড়া দেওয়ার প্রবণতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, অনেক ঝুপড়ি ঘর রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে গড়ে ওঠে, ফলে উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এতে করে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গঠনের চেষ্টা থমকে যায়।
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “কুয়াকাটা এলাকার খাস জমি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় ভূমি উপদেষ্টা স্যার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সাথে পরামর্শ করে অতি শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা, পটুয়াখালী।