বিজ্ঞাপন
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
শনিবার রাত ১০টায় সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফিজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জড়িতদের দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালীন সাংবাদিক ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মর্মাহত। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব ও শিক্ষার্থীদের অধিকার ও দাবি আদায়ের সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদকর্মীরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করে আসছেন।
আরও বলা হয়, আজকের আন্তঃসেশন ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়। তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।
আমরা মনে করি, আজকের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল মাত্র। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীদের সহনশীল ও সহানুভূতিশীল আচরণের আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীরা একে অপরের পরিপূরক। ভুলত্রুটি ভুলে গিয়ে আমরা সবাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা করি। একইসঙ্গে, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
প্রসঙ্গত, আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ভিডিও করতে গেলে তিন সাংবাদিককে মারধর করেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। শনিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা পর্যন্ত (৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও) মোবাইলটি ফেরত দেওয়া হয়নি।
অভিযুক্তরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান, সাব্বির, আফসানা পারভীন তিনা, মিনহাজ, সৌরভ দত্ত ও পান্না। একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অজিল, সাইফুল, রাকিব, মশিউর রহমান রিয়ন ও হৃদয়সহ ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী।
প্রতিবেদক- ইদুল হাসান, ইবি
