Logo Logo
জাতীয়

বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে, এমন দাবি সঠিক নয় : প্রেস উইং


Splash Image

চলতি বছরে দেশে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে—এমন তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বিশেষ করে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস ঘটনার পর পরিস্থিতিকে ‘অবনতি’র দিকে ইঙ্গিত করে একাধিক সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। তবে সরকার বলছে, এসব আশঙ্কার ভিত্তি নেই।

সোমবার (১৪ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সরকারি বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সরকারি অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে—এমন দাবি সঠিক নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মাসে বড় ধরনের অপরাধের প্রবণতা স্থিতিশীল রয়েছে। পরিসংখ্যানে বড় ধরনের অপরাধের দ্রুত বাড়ার কোনো লক্ষণ নেই। বাস্তবে বেশিরভাগ গুরুতর অপরাধের হার কমছে বা একই পর্যায়ে রয়েছে।”

তবে বিবৃতিতে স্বীকার করা হয় যে, কিছু নির্দিষ্ট ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এসব অপরাধের প্রকৃতি ও স্থানভেদে ভিন্নতা থাকলেও সার্বিক পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

নাগরিকদের উদ্দেশে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিনিয়ত মাঠে রয়েছে। তারা অপরাধ প্রতিরোধ ও তদন্তে সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে। তাই নাগরিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে হবে।”

সরকারি এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস্তব চিত্র উপলব্ধি করতে হলে মিডিয়ার প্রকাশিত তথ্যের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান যাচাই করা জরুরি। অপরাধ প্রবণতা নির্ধারণে কেবল বিচ্ছিন্ন ঘটনাই যথেষ্ট নয়; বরং সামগ্রিক প্রবণতা, অপরাধের ধরন ও আইনি পদক্ষেপের গতি—এসবই বিবেচনায় নিতে হয়।

সব মিলিয়ে, অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সরকার তা ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’ হিসেবে মানতে নারাজ। বরং তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাকেই স্থিতিশীলতার বড় কারণ হিসেবে তুলে ধরছে। তবে পরিস্থিতি যেন অবনতির দিকে না যায়, সে জন্য সতর্কতা ও নাগরিক অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

নামাজে সাহু সিজদা দিতে ভুলে গেলে করণীয় কী? জেনে নিন ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
নামাজে সাহু সিজদা দিতে ভুলে গেলে করণীয় কী? জেনে নিন ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
হাবিপ্রবিতে  দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম
হাবিপ্রবিতে দুই দিনব্যাপী ব্র‍্যাকনেট প্রেজেন্টস আই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম