বসতঘর লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
দুর্বৃত্তরা ওই বসতঘর লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুড়লে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, “রোববার রাতে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী উলু চামারিতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্রধারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হ্নীলা রঙ্গিখালীর আবুল আলম বাহিনী ও তার ছেলে মো. আফ্রিদির সঙ্গে একই এলাকার প্রতিপক্ষ জালাল বাহিনীর দীর্ঘদিনের মাদক-সম্পৃক্ত বিরোধ রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরেই আফ্রিদির বসতঘরে হামলার ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, জালাল বাহিনীর প্রধান জালালের নেতৃত্বেই ওই রাতে সশস্ত্র গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে রাতের বেলা বাইরে বের না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সংঘবদ্ধ মাদকচক্রের আধিপত্য বিস্তার ও প্রতিপক্ষ দমনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, হামলা ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় অভিযান পরিচালিত হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
টেকনাফের এই গোলাগুলির ঘটনায় নতুন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।