বিজ্ঞাপন
ডিএমপির পল্লবী ও দারুসসালাম জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সালেহ মোহম্মদ জাকারিয়া ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন, “পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা চেয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদাবাজি, আন্ডার ওয়ার্ল্ডগিরি, ডনগিরিতে মেতে উঠেছে একশ্রেণির সন্ত্রাসী। কারো রাজনৈতিক পরিচয় দেখার সুযোগ নেই। এখন থেকে দুটি অপশন— হয় ভালো হয়ে যান, নয়তো সামনে হারিকেন, পিছনে বাঁশ।”
তিনি আরও বলেন, “গ্যাংস্টারদের ফোনকল, কাফনের কাপড়, খামে ভরা বুলেট অথবা কোনো হুমকি পেলে সাথে সাথে পুলিশকে জানাবেন। প্রয়োজনে সেখানে সশস্ত্র ফোর্স মোতায়েন করা হবে। থানায় গিয়ে হয়রানির শিকার হলে আমাদের জানাবেন, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।”
এডিসি জাকারিয়া দাবি করেন, পুলিশের লাগাতার অভিযানের ফলে ইতোমধ্যে অনেক সন্ত্রাসী এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। “আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা নিশ্চিত করব, তারা যেন আর এলাকায় ফিরতে না পারে,”— বলেন তিনি।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়’ একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কাফনের কাপড় ও গুলি পাঠিয়ে ভয় দেখানোর ঘটনা মিরপুর-পল্লবীতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগে পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি চালানো হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্যাংস্টারদের হুমকির অডিও/ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই পুলিশ এইসব অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাং-কালচার নিয়ন্ত্রণে পুলিশ যদি এই ‘কথা নয়, অ্যাকশন’ পদ্ধতিতে মাঠে থাকে এবং সাধারণ মানুষ সহযোগিতা করে, তাহলে এলাকায় স্থায়ী পরিবর্তন সম্ভব।