বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারোটায় কলা ও মানবিকী অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি র্যালি শুরু হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ প্রদক্ষিণ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন,"জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আমাদের নারীরা সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাদের অবদান উপেক্ষা করার নয়। সারা দেশের আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা।"
উপাচার্য জানান, নারী শিক্ষার্থীদের অবদান স্মরণে জুলাই-আগস্ট মাসে বৃহৎ পরিসরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, "৫ আগস্টের পর থেকে যেসব মানবতাবিরোধী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটেছে-যেমন মানবহত্যা, ধর্ষণ-এসবের বিরুদ্ধে তখন সবাই একজোট হয়ে রুখে দাঁড়ায়নি। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার।"
সমাবেশে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী ছাত্রী প্রাপ্তি তাপসী সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সেই সময়ের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আরও কয়েকজন ছাত্রী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে শহীদ হওয়া শিক্ষার্থী আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর মা, যার আবেগঘন বক্তব্যে অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, শিক্ষক এবং বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী।
আয়োজনে নারীদের বলিষ্ঠ ভূমিকাকে স্মরণ ও সম্মান জানিয়ে আগামী দিনের আন্দোলন ও নেতৃত্বে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিবেদক - আকিব সুলতান অর্নব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।