ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ (এফপিএমসি) কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভাপতি ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এতে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫৫ লাখ পরিবারকে ছয় মাস ধরে চাল দেওয়া হবে। কর্মসূচির প্রথম ধাপ চলবে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এটি সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আবারও চাল বিতরণ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, “বর্তমানে দেশের খাদ্য মজুত অত্যন্ত সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। তবে চলমান বন্যা পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য দুর্যোগ বিবেচনায় সরকার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে।”
এছাড়া, বেসরকারি খাতে আরও পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্য উপদেষ্টা।
সরকারের এ পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা স্বাগত জানিয়ে বলছেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এমন পূর্ব প্রস্তুতি প্রশংসনীয়। বিশেষ করে সীমিত আয়ের পরিবারগুলোর জন্য এটি হবে উল্লেখযোগ্য সহায়তা।