ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পৃথক পৃথক আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আইআরডির জারি করা আদেশে বলা হয়, গত ২২ জুন বদলির আদেশ জারি করা হলেও সেটিকে প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেন ওই কর্মকর্তারা। তাঁদের এই কর্মকাণ্ডকে 'ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ' হিসেবে উল্লেখ করে এনবিআরের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শেষে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— ঢাকা কর অঞ্চল-২–এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫–এর যুগ্ম কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের কর কমিশনার মোরশেদ উদ্দীন খান, নোয়াখালী কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, কক্সবাজার কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার আশরাফুল আলম প্রধান, খুলনা কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, রংপুর কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার নুশরাত জাহান, কুমিল্লা কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব তানজিনা রইস।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, সম্প্রতি রাজস্ব খাতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া এসব কর্মকর্তা ওই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদেশে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাঁরা এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন এবং সরকারি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন। আদেশে স্বাক্ষর করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
এর আগে গত মাসে রাজস্ব খাতে দীর্ঘদিনের বৈষম্য, অকার্যকর বদলি ও পদোন্নতি নীতির প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে এনবিআরের একাংশ। ২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কর্মবিরতির মাধ্যমে আন্দোলনে নামে কর্মকর্তারা। পরে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়।
তবে আন্দোলন থেমে গেলেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বন্ধ হয়নি। ইতোমধ্যে এনবিআরের তিন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনবিআরের আরও ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তাঁদের অধিকাংশই আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন বলে এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়।