ছবি : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সি
বিজ্ঞাপন
নিহত রমজান মুন্সী সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আকবর মুন্সীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন।
রমজান মুন্সীর ছোট ভাই ইমরান মুন্সী জানান, “বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে আমার ভাই রিকশায় করে যাত্রী নামিয়ে চৌরঙ্গী কোর্টের সামনে দিয়ে ফিরছিল। হঠাৎ সহিংসতার মধ্যে পড়ে অজ্ঞাত একজনের গুলিতে তার ডান হাতের কব্জি ও বগলের পাশে গুলি লাগে।”
পরবর্তীতে স্থানীয়রা রমজানকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে গোপালগঞ্জের সহিংসতায় এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচে। এর আগে বুধবার সংঘর্ষের দিনই চারজন নিহত হয়েছিলেন। তারা হলেন— টেলিকম ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), টাইলসের দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদার (১৭) ও রাজমিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজী (১৮)।
বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আরও দুজন—সুমন বিশ্বাস (২০) ও আব্বাস আলী সরকার (৩০) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।