বিজ্ঞাপন
নিহত সবুজ কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাসার হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় ময়না বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো গরু চরাতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে লাশ দেখতে পান তিনি। পরে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বোন মনিরা বলেন, “দুই দিন আগে আমার ভাইয়ের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনার পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাই আমার মারধর করে। এ বিষয়টি আমেনা তার বড় ভাইকে জানালে সে এসে আমার ভাইকে হুমকি দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমেনা বাবার বাড়ি চলে যায় এবং সঙ্গে সবুজও যায়। আমরা ভেবেছিলাম সে শ্বশুরবাড়িতে আছে। কিন্তু আজ দেখি ঝোপের মধ্যে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল হোসেন বলেন, “আমি সাগরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মানুষের চিৎকার শুনে কাছে গিয়ে দেখি ঝোপের মধ্যে লাশ পড়ে আছে। দুর্গন্ধের কারণে কাছে যাইনি।”
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি