বিজ্ঞাপন
এতে আশপাশের অন্যান্য ঘরবাড়িও মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
ভুক্তভোগী বাচ্চু মিয়া ও বাবুল মিয়া জানান, প্রায় এক মাস ধরে স্থানীয় তুলাইশীমুল এলাকার বিল্লাল ভূঁইয়া ধানী জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে খারকুট এলাকায় বিক্রি করছেন। লাগাতার মাটি কাটার কারণে ও পুকুরের পাড়ে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় তাদের বাড়িঘর ধসে পড়ছে। তারা দাবি করেন, ইতোমধ্যেই তাদের দুটি ঘর পুকুরে তলিয়ে গিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘরের খাট, দরজা ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, অবৈধ মাটি কাটার কারণে আরও কয়েকটি বাড়িঘর হুমকির মুখে রয়েছে। বিশেষ করে পুকুরের পাড়ে মাটি ধসে যাওয়া বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীরা অবিলম্বে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
ড্রেজার মালিক বিল্লাল ভূঁইয়া বলেন, “অনেকদিন পুকুরে মাটি কাটা হয়নি। মাটি জমে গিয়েছিল। তবে ঘর ভেঙে যাওয়ায় আমি মেরামতের চেষ্টা করব।”
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়ছল উদ্দিন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-মোঃ খোকন মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া