Logo Logo

গোপালগঞ্জে নিহত ৩ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে


Splash Image

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষ, গুলি ও প্রাণহানির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলার প্রস্তুতি চলছে।


বিজ্ঞাপন


নিহতরা হলেন—ইমন তালুকদার, রমজান কাজী ও সোহেল রানা মোল্লা। এরমধ্যে প্রথম দুইজনের কবর শহরের পৌর কবরস্থানে এবং সোহেল রানার কবর টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থানে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে লাশ উত্তোলনের কথা থাকলেও দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট এলে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আজই পুনরায় দাফন সম্পন্ন করা হবে।

এর আগে গত বুধবারের (১৬ জুলাই) সংঘর্ষে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও সৎকার করা হয়। অন্যজন রমজান মুন্সি, যিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়।

এদিকে শনিবার (১৯ জুলাই) গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা চারটি পৃথক হত্যা মামলার বাদী হয়েছেন থানার চারজন উপপরিদর্শক (এসআই)। এসব মামলায় ৮০০ থেকে ১,৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

এসআই মো. আইয়ুব হোসেন বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই দুপুরে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে গোপালগঞ্জ শহরের এসকে সালেহিয়া মাদরাসার কাছে গাড়িবহর পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং দুষ্কৃতকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে রমজান কাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মামলায় ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এই মামলার বাদী এসআই মো. শামীম হোসেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, কলেজ মসজিদের পাশে মিলন ফার্মেসির সামনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরোধে এগিয়ে আসে। তখন হামলাকারীরা গুলি চালায়, এতে দীপ্ত সাহা গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই মামলায় ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় হোটেল রাজের সামনে এনসিপির নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও হামলাকারীরা গুলি চালায়। এতে সোহেল রানা মোল্লা নিহত হন। এই মামলায়ও ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চতুর্থ মামলার বাদী এসআই শেখ মিজানুর রহমান। মামলার এজাহারে বলা হয়, শহরের পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামনে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা গুলি চালায়। এতে ইমন তালুকদার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মামলায় ১,৪০০ থেকে ১,৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

প্রতিবেদক - মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...