ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “এটি একটি আধুনিক হুমকি। যেকোনো কিছু দেখলেই তাই শেয়ার করা ঠিক নয়। একটু যাচাই-বাছাই করে শেয়ার করা উচিত।”
শনিবার (২৬ জুলাই) খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, “অপপ্রচার থেকে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যথাসম্ভব নিরাপদ রাখার জন্য মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ভুল তথ্য দেওয়া হয়, সেই ব্যাপারে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখন নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের মাঝে দেখা দিয়েছে, যেগুলো আগে এত ছিল না। সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা।”
মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে উদাসীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানুষ মনে করে আমি গেলেও ভোট হবে, না গেলেও হবে। এই মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ভোটারদের, বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রযুক্তিনির্ভর হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সতর্কতা জানিয়ে সিইসি বলেন, “নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে যেকোনো ধরনের প্রযুক্তি-নির্ভর হস্তক্ষেপ রোধে আমরা সতর্ক। আমরা কোনো রাতের ভোট করতে চাই না, দিনের ভোট করতে চাই। মানুষ স্বচ্ছতার সঙ্গে যাতে ভোট দিতে পারে সেটিই আমরা চাই।”
নির্বাচনের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সিইসি জানান, “নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। আমরা জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই। তা না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।”
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেই অনুযায়ী সবধরনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেনজীর আহম্মেদসহ উপজেলার বিভিন্ন নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...