Logo Logo

নোয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভাঙনের মুখে শতাধিক বাড়িঘর


Splash Image

নোয়াখালীর নিম্নাঞ্চলে সাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে প্লাবন এবং নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকার শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিপুল জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


২৬ জুলাই ২০২৫, নোয়াখালী প্রতিনিধি: সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও নোয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে হাতিয়া উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়ন ও চরএলাহী ইউনিয়নের কিছু অংশে ভয়াবহ প্লাবন সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে কিছু এলাকায় নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে, যার ফলে শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক সম্পূর্ণ তলিয়ে যায় এবং সেখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি প্রবাহিত হয়। নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার এলাকা ও নলচিরা, সোনাদিয়া, সুখচর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়কগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো পরিবার।

এছাড়া, হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নে একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে সেখানে প্লাবন পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বেড়ির বাহিরে এবং নলচিরা ইউনিয়নের কিছু অংশে নদী ভাঙনও সৃষ্টি হয়েছে, এবং অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ও দোকানঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে এখনও জলাবদ্ধতা চলমান রয়েছে, এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে পানি নামছে না।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা হাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, সুখচর, সোনাদিয়া ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, কিছু এলাকায় নদীর অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর বোট চলাচল শুরু হয়েছে, তবে অন্যান্য এলাকার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

-গিয়াস রনি, নোয়াখালী প্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...