বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তুপানিয়া, আল-আমিন গ্রাম ও নলচিরা এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির চাপে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে প্রচণ্ড জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে। এতে হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নের অন্তত তিনটি ওয়ার্ডসহ নলচিরা ও চরইস্বর এলাকায় ডুবে গেছে শতাধিক বসতঘর, রান্নাঘর, আঙিনা, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের।
প্লাবিত হয়েছে নিঝুম দ্বীপের বিস্তীর্ণ জনপদ। এছাড়া উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দমারচর, ঢালচর, চরগাসিয়া, নলের চর, বয়ার চর, চর আতাউর ও মৌলভীর চর এলাকাতেও ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার।
টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের ও কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন খেটে খাওয়া পরিবারগুলো।
দুইদিন বন্ধ থাকার পর রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে হাতিয়ার সঙ্গে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সীট্রাক পৌঁছে যায় নলচিরা ঘাটে। দুপুরে নলচিরা ঘাট থেকে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারও আসে চেয়ারম্যান ঘাটে।
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলেও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেন ও খালে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় পানি নামতে পারছে না, ফলে দিনদিন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “জোয়ারের পানিতে এখানকার বেশ কিছু বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নৌ যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে।”
প্রতিবেদক - গিয়াস রনি, নোয়াখালী।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...