রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকের শুরুতে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। ছবি: পিআইডি
বিজ্ঞাপন
আজ রবিবার (২৭ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম বৈঠকের সূচনালগ্নে তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া তৈরি করেছে এবং আগামীকাল (সোমবার) এটি সকল রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, “প্রতিটি দল তাদের অভ্যন্তরীণ আলোচনার মাধ্যমে মতামত জানালে, সেই সুপারিশগুলো খসড়ায় সন্নিবেশ করা হবে।”
ড. রীয়াজ আরও জানান, যদি দলগুলোর পক্ষ থেকে মৌলিক কোনো আপত্তি না আসে, তবে এ খসড়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন হবে না। সকল দলের মতামত গ্রহণ শেষে চূড়ান্ত সনদে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এর পটভূমি, অঙ্গীকারনামা এবং বাস্তবায়নের ধাপসমূহ।
তিনি সময় স্বল্পতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমাদের আলোচনা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে, যেন পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়া যায়।” কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় এখন পর্যন্ত ১০টি বিষয়ে একধরনের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নমত বা ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ রয়েছে, সাতটি বিষয়ে আলোচনা চলমান এবং তিনটি বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
আজকের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে—রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিক অধিকারের সম্প্রসারণ এবং পুলিশের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব।
জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত এ আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
কমিশনের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, গবেষক সফর রাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যুতে সর্বদলীয় ঐকমত্য অর্জনের লক্ষ্যে আরও কয়েক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...