বিজ্ঞাপন
ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও জেলার প্রধান সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো অটোরিকশাশূন্য। চালক ও মালিকরা স্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। গত দুই দিন বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলে বাধা থাকলেও আজ (মঙ্গলবার) অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
চালকদের অভিযোগ, ট্র্যাফিক পুলিশ অটোরিকশা আটক করে অকারণে হয়রানি করছে এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। এ অবস্থায় গত শনিবার (২৬ জুলাই) জেলা সিএনজি অটোরিকশা পরিবহণ মালিক সমিতির জরুরি বৈঠকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অটোরিকশা বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ইজিবাইক ও রিকশায় চলাচল করছেন। এতে এসব যানবাহনের চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন।
জেলা সিএনজি অটোরিকশা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ স্বপন মিয়া বলেন, ট্র্যাফিক পুলিশের হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো ফল পাইনি। গাড়ি ছাড়াতে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে। আমাদের দাবি না মেটা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
স্থানীয় যাত্রীরা অটোরিকশা পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন অফিস, স্কুল-কলেজে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিবহণ সংকটে ভোগান্তির শেষ নেই।
-মোঃ খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...