বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চাটখিল কামিল মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সময় নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের দিন চাটখিলে কোন সহিংসতা ঘটেনি। একদল কুচক্রী মহল চাটখিল থানা লুট করে অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে যায়। এই লুট করা অস্ত্রের আত্মঘাতী গুলিতেই ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়। অথচ একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে এই মৃত্যুকে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ‘৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ না করেও অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়েছেন। আজকে ২৪ এর আন্দোলনেও ভুয়া শহিদের স্বীকৃতি আদায় করা হয়েছে। তাই আন্দোলনকারী ছাত্র সমাজ এই ভুয়া শহীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যেই জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এবং উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে ইমতিয়াজের শহীদের স্বীকৃতি বাতিলের জন্য আমরা আবেদন করেছি। আমরা প্রত্যাশা করি তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত সত্য ফুটে উঠবে।’
তারা আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে ইমতিয়াজের বাবা হাবিবুর রহমান জুলাইয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা প্রচারণা করে যাচ্ছেন। তাই আমরা তাকে এ ধরনের প্ররোচনামূলক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানাবো। না হয় ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আন্দোলনকারী ছাত্রনেতারা আরো অভিযোগ করেন, ‘ইমতিয়াজের মৃত্যু নিয়ে মামলা বাবদ আর্থিক বাণিজ্য এবং নিরীহ লোকজনকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি ছাত্র প্রতিনিধি বৃন্দ আহ্বান জানান
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন সাইফুল ইসলাম, গোলাপ হোসেন ফরহাদ, রফিকুল ইসলাম রনি, তাহা ইয়াসিন ও মো. সামির।
-চাটখি(নোয়াখালী)প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...