বিজ্ঞাপন
দুদক সূত্র জানায়, অভিযানের আগে এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে হাসপাতালের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বিভিন্ন রকম কথা বলেন। পরে পরিচয় প্রকাশ করে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি, খাবার সরবরাহ ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন।
এ সময় অভিযানে উঠে আসে, হাসপাতালের রোগীদের জন্য সরবরাহ করা খাবার নিম্নমানের এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়নি। এছাড়া, মজুত থাকা সত্ত্বেও রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে না এবং বহির্বিভাগের স্টোররুমের ওষুধ রেজিস্টার প্রায় দুই মাস ধরে হালনাগাদ করা হয়নি।
দুদক জানায়, রোগ নির্ণয়ের বেশ কিছু যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। আবার কিছু যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও সেবা নিতে গিয়ে রোগীরা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ওষুধের স্টক রেজিস্টার যাচাইয়ের সময় নার্স ইনচার্জ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও জানায় দুদক। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (UHFPO) কর্মস্থলে না থেকে ঠাকুরগাঁও শহরে অবস্থান করছেন এবং প্রতিদিন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন বলেও প্রমাণ মেলে জানায় দুদক। এছাড়াও
দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ আজমির শরিফ মারজী বলেন, ‘অভিযানে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শোকজ করার জন্য সুপারিশ করা হবে এবং কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘অভিযান চলাকালে যেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলোর লিখিত জবাব দুদককে দেয়া হবে।’ তবে কর্মস্থলে না থেকে শহর থেকে যাতায়াতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
প্রতিবেদক- হুমায়ুন কবির রেজা
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...