বিজ্ঞাপন
জমিতে অনধিকার প্রবেশ, প্রাণনাশের হুমকি, মারধর ও অবরুদ্ধ করে রাখার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন ভুক্তভোগী পক্ষ। ইতোমধ্যে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, আরবাব গ্রুপের মালিক আরবাব হোসেন, এম এম আজমত হোসেন ও এম এম আদনান হোসেন উপজেলার কালতামারী মৌজায় স্থানীয়দের কাছ থেকে ৩৪টি দলিলের মাধ্যমে মোট ২১ একর ২৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমিটির নামজারি সম্পন্ন এবং ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে সীমানা প্রাচীর দিয়ে স্থায়ী দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরবাব গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আবু সাঈদ ফকির সুহিনের দাবি, গত ২৭ জুলাই রাতে তিনি জমি তদারকি করতে গিয়ে দেখতে পান—মো. আবুল হোসেন ফকির, মো. কামরুল ইসলাম ফকির, মো. আবুল হাসান ফকির, মো. জহিরুল ওরফে ফকরুল ইসলাম ফকির, মো. বাহারুল ইসলাম ফকির, মো. আক্কাছ আলী, মিলন মিয়াসহ আরও ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্র ও ইলেকট্রিক করাত নিয়ে গাছ কেটে নিচ্ছেন।
তিনি বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং মারধর করে একঘরে আটকে রাখে। পরে তারা প্রায় ৪০০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে লড়িতে করে স্থান ত্যাগ করে। গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন বাদীপক্ষ।
ভুক্তভোগী প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু সাঈদ ফকির সুহিন বলেন, "আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে একটি ঘরে আটকে রাখে। তারা পূর্বে আমাদের কাছেই জমি বিক্রি করেছে। এখন আবার টাকার জন্য হয়রানি করছে। জমি নিয়ে একাধিক সালিশ হয়েছে, প্রতিবারই তারা হেরেছে।"
আরবাব গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে বিবাদীরা আমাদের হয়রানি করে আসছে। এর আগেও একাধিকবার গাছ কেটে নিয়ে গেছে। সেসব বিষয়ে থানায় মামলা চলমান রয়েছে। এমনকি ২০২১ সালের ১৯ মে তারা একটি স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু এবার আরও বড় ক্ষতি করে গেল। আমরা সঠিক বিচার পাচ্ছি না।"
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ভোরের বাণীকে বলেন, "ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...