বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬২তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এছাড়া অভিযোগ তদন্তে নতুন আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্ট একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, সাইদুল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে —শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া, যৌন হয়রানি, বিভাগীয় আসবাবপত্র জোরপূর্বক দখল, অফিসরুমকে দলীয়করণ, সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশি স্কলারশিপের আবেদন করা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষকের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে এর আগে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করেছিল। সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অধিকতর তদন্তের জন্য নতুন একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাইদুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোরবিরোধিতার কারণে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগেও শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া, যৌন হয়রানি, জোরপূর্বক বিভাগের আসবাবপত্র দখল, অফিসরুম দলীয়করণ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশি স্কলারশিপে আবেদন করা, সহকর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে তেড়ে যাওয়া এবং উপ-উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁর নাম উঠে আসে, যা একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...