অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কমিশনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা সংবিধান সংশোধনের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংস্কারের সুযোগ কাজে লাগিয়েই প্রকৃত পরিবর্তন আনতে চাই। ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত করার পাশাপাশি জাতীয় সংসদের কার্যক্রমে বিরোধীদলের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং নির্বাহী বিভাগে নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে সমর্থন রয়েছে।”
কমিশনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে বিরোধীদলীয় এমপিদের সভাপতিত্ব নিশ্চিত করার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ এক ব্যক্তির হাতে না রাখার এবং প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের মেয়াদ ১০ বছরে নির্ধারণের বিষয়ে ব্যাপক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, যা এককেন্দ্রিক ক্ষমতা কমানোর লক্ষ্য রাখে।
এ সময় তিনি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের অকারণ হস্তক্ষেপের বিষয়েও সতর্ক করে বলেন, “এমপিদের স্থানীয় শাসনে হস্তক্ষেপ আইনসম্মত নয় এবং আদালতের রায়ের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। কমিশনের প্রস্তাবনায় এ ধরনের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে সুস্পষ্ট সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ জানান, জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি পর কিছু বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, সেগুলো নিরসনে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নেয়া হবে। তবে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেসব প্রস্তাবে ঐকমত্য রয়েছে, সেগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ নির্বাচন আয়োজন বা তদারকির সঙ্গে নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ তৈরি করাই মূল উদ্দেশ্য। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে আলাপচারিতাও করা হবে, যদিও এটি দীর্ঘমেয়াদি নয়।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৬২টি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হওয়া গেছে। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় ২০টি বিষয়ের মধ্যে ১১টিতে কোনো ভিন্নমত নেই, বাকি ৯টিতে ভিন্নমত থাকলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফররাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...