বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনি এ ঘোষণা দেন।
উপাচার্য জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। এই নীতিমালার অধীনে স্ব-স্ব হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে তিনি ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও জানান।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেছেন। তারা ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন—
১. কেন কমিটি দেওয়া হলো, উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে।
২. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে বিদ্যমান গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এলাকায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে।
৪. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে।
৫. হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের হল ইউনিটসমূহের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একাডেমিক ও হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও এ কমিটি ঘোষণায় বিকেল থেকে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ধীরে ধীরে বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়তে থাকে এবং রাত ১২টার পর সবগুলো হল থেকে শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন।
পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। দীর্ঘ সময় হট্টগোলের পর রাত ২টার দিকে উপাচার্যের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে—২০২৪ সালের ১৭ জুলাইয়ের ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী গুপ্ত ও প্রকাশ্য হল রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...