বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বিভাগের নতুন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ মূলত অস্থায়ী অডিটোরিয়ামে আয়োজনের কথা থাকলেও মাত্র ৬০ জনের বসার জায়গা থাকায় বাকি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অনুষ্ঠান করার দাবি জানান। তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে শিক্ষকরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে সকাল ১০টায় ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শুরু করেন এবং ফুল দিয়ে নবীনদের বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারম্যান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একযোগে আগামী একনেক সভায় স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনের দাবি জানান।
এক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, “এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা—আনন্দেরও, আবার বিষাদেরও। স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকলে হয়তো মহাসড়কে ওরিয়েন্টেশন হতো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই স্থায়ী ক্যাম্পাস আন্দোলনে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত দাবি মেনে নেবে।”
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নজরুল ইসলাম জানান, “অডিটোরিয়ামে মাত্র ৬০ জন বসার জায়গা থাকলেও নতুন শিক্ষার্থী ২৫০ জন। তাই রাস্তায় ওরিয়েন্টেশন আয়োজন ছাড়া উপায় ছিল না। আমরা চাই সরকারের দ্রুত সুনজরে ডিপিপি অনুমোদন হোক, যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আরও প্রাণবন্ত হয়।”
প্রতিষ্ঠার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও যৎসামান্য অঙ্কের—৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার—ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ২৬ জুলাই শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়েও তারা এই দাবিতে সোচ্চার হন। সমস্ত শর্তপূরণ ও প্রয়োজনীয় প্রমাণক সরবরাহের পরও অনুমোদন না হওয়ায় সিরাজগঞ্জের সাধারণ মানুষও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
সচেতন মহলের প্রশ্ন, মাত্র ৫১৯ কোটি টাকার বরাদ্দ কেন সরকার এখনো অনুমোদন দিচ্ছে না—প্রতিষ্ঠার প্রায় এক দশক পেরিয়েও এই জটিলতার অবসান হবে কবে?
প্রতিবেদক - মোঃ হাফিজ, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...