Logo Logo

ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চায় ৩২ শতাংশ মানুষ : গবেষণা


Splash Image


বিজ্ঞাপন


চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় ৩২ শতাংশ মানুষ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় ১২ শতাংশ এবং জুনের মধ্যে নির্বাচন চায় ১১ শতাংশ মানুষ।

আগামী বছরের ডিসেম্বরে অথবা তার পরে নির্বাচন চায় ২৫ শতাংশ মানুষ।

দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ওপর চালানো এক জরিপে এ ফলাফল উঠে এসেছে। ভয়েস ফর রিফর্মের সহযোগিতায় এ জরিপ পরিচালনা ও গবেষণা করেছে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভার্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)।

সোমবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জনগণের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা জুলাই- ২০২৫’ শীর্ষক এ জনমত জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন বিআইজিডির ফেলো অব প্র্যাক্টিস সৈয়দা সেলিনা আজিজ। ভয়েস ফর রিফর্মের কো-কনভেনার এ কে এম ফাহিম মাশরুরের সভাপতিত্বে ও বিআইজিডি এর অপারেশনস, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পার্টনারশিপের পরিচালক মেহনাজ রব্বানীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মিরাজ এম হাসান ও আসিফ শাহান।

সৈয়দা সেলিনা আজিজ জানান, তৃতীয়বারের মতো এ মতামতভিত্তিক জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এ জনমত জরিপের উদ্দেশ্য ছিল দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে নাগরিকদের মতামত জানা, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নাগরিকদের মূল্যায়ন করা, তরুণদের রাজনৈতিক দল বিষয়ে নাগরিকদের ধারণা এবং মতামত জানা এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের ভাবনা জানা।

তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত পরিচালনা করা এ জরিপে ৯ হাজার ২০৩ জনকে টেলিফোন করা হয়। যার মধ্যে ৫ হাজার ৪৮৯ জন উত্তর দিতে রাজি হয়। উত্তরদাতাদের ৪৭ শতাংশ নারী এবং ৫৩ শতাংশ পুরুষ। এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ গ্রামে এবং ২৭ শতাংশ শহরে বসবাস করে।

গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে সৈয়দা সেলিনা আজিজ বলেন, ২০২৪ সালের আগস্টে আমরা একই ধরনের একটি জনমত জরিপ করেছিলাম। সে সময় দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষের যে আশাবাদ ছিল তা ক্রমশ কমেছে। বর্তমানে ৪২ শতাংশ মানুষ মনে করে রাজনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। যা ২০২৪ সালের আগস্টে ছিল ৭১ শতাংশ। এছাড়া সে সময় অর্থনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে চলছে মনে করা মানুষের হার ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪৫ শতাংশে এসেছে।

তিনি আরও জানান, দেশের বর্তমান প্রধান সমস্যা হিসেবে ১৫ শতাংশ মানুষ অর্থনীতি ও ব্যবসায় মন্দা, ১৪ শতাংশ মানুষ আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ১৩ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক অস্থিরতা, নয় শতাংশ মানুষ দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি, ১৮ শতাংশ মানুষ নির্বাচিত সরকার না থাকা, এক শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র না থাকাকে দায়ী করেছেন। এছাড়া উত্তর দিতে চাননি দুই শতাংশ মানুষ, উত্তর জানেন না নয় শতাংশ মানুষ এবং অন্যান্য উত্তর দিয়েছেন ১৮ শতাংশ মানুষ।

বেশিরভাগ মানুষ সংস্কার সম্পর্কে সচেতন ও নির্বাচনের আগেই প্রয়োজনীয় সংস্কার চান বলে জানিয়েছেন সৈয়দা সেলিনা আজিজ। তিনি বলেন, জরিপে অংশ নেওয়া ৫১ শতাংশ উত্তরদাতা ভালো মতো সংস্কার করে তারপর নির্বাচন চায়, ১৭ শতাংশ উত্তরদাতা চায় কিছু জরুরি সংস্কার করে নির্বাচন, সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন চায় ১৪ শতাংশ মানুষ। এ বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না ১৩ শতাংশ উত্তরদাতার এবং চার শতাংশ কোনো উত্তর দিতে চাননি।

তিনি আরও জানান, জরিপে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চেয়েছেন ৩০ শতাংশ, আইন ও বিচার ব্যবস্থার উন্নতি চেয়েছেন ১৬ শতাংশ, নিরাপত্তা নিশ্চিত চেয়েছেন ১১ শতাংশ, অর্থনীতি/ব্যবসা চাঙ্গা চেয়েছেন ১৬ শতাংশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমুক তা চেয়েছেন ১৩ শতাংশ, বেকারত্ব কমুক চেয়েছেন ১০ শতাংশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অসহনশীলতা কমুক চেয়েছেন ১৯ শতাংশ, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছেন ১৯ শতাংশ, দুর্নীতি দমন করা হোক চেয়েছেন ১৭ শতাংশ এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন চেয়েছেন ১৪ শতাংশ।

জরিপে মব সহিংসতা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন ৮০ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ পুরুষ এবং ৭৯ শতাংশ নারী। মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন ৫৬ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ পুরুষ ও ৬২ শতাংশ নারী। রাতে চলাচলে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছেন ৬১ শতাংশ। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ পুরুষ ও ৬৬ শতাংশ নারী। পোশাকের জন্য রাস্তা-ঘাটে হয়রানির কথা বলেছেন ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৭১ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...