বিজ্ঞাপন
স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূরক বৃত্তি প্রদান, ফ্যাসিস্ট সহযোগীদের বিচার, অস্থায়ী আবাসন নির্মাণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে স্মারকলিপি হস্তান্তরের পর শাখা ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অবস্থান প্রকাশ করে।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গত বছরের নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের জন্য আমরা ২১ দফা দাবি উপাচার্যের কাছে দিয়েছিলাম, কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। যদি আমাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ না হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার বাধ্য হয়ে পড়ব।” তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “স্বৈরাচারী ছাত্রলীগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচার না হলে জবির শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ ও সুস্থ পরিবেশ ফিরবে না।”
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সহযোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত ফৌজদারি বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারবে না।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে জকসু নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করা জরুরি।”
ছাত্রদলের দাবির মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে সম্পূরক বৃত্তি প্রদান এবং তা ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর করা, এছাড়া শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে মুক্ত মঞ্চে সংবাদ সম্মেলন করার অনুমতি দেওয়া। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সাত একর জমিতে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণ এক মাসের মধ্যে শুরু করে ছয় মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করার দাবিও জানানো হয়েছে।
তারা পূর্বের স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৬৮ জন ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত শিক্ষক ও ২৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিচারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে জকসু নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
প্রতিবেদক - আল আমিন হুসাইন, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...