খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
সোমবার মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান এবং এটি অত্যন্ত সন্তোষজনক হিসেবে মূল্যায়ন করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা সভাপতিত্ব করেন। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “নিরাপদ খাদ্য মজুদের ন্যূনতম পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন হওয়া প্রয়োজন, কিন্তু সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় আরও আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট থেকে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে এবং এর আওতা সম্প্রসারিত করে মোট ৫৫ লাখ পরিবারে পৌঁছানো হবে, যা গত বছরের তুলনায় ৫ লাখ পরিবার বেশি। কর্মসূচির অধীনে প্রতিটি পরিবার প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাবেন।
গত বছর পাঁচ মাস স্থায়ী কর্মসূচিটি এবার ছয় মাস পর্যন্ত চলবে। প্রথম ধাপ আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলবে, এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বিরতি থাকবে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এ বছর প্রায় ১০ লাখ টন চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বিতরণ করা হবে বলে জানান খাদ্য উপদেষ্টা।
অনিয়ম রোধে কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অসদাচরণ আমরা সহ্য করব না।”
সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর এবং ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুরাইয়া খাতুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...