বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটেছিল গত রমজান মাসে, তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ইউএনও রুয়েল সাংমা এক কিশোরকে লাঠি দিয়ে বারবার আঘাত করছেন। পাশে উপস্থিত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা চেষ্টা করেও তাকে থামাতে পারেননি। একপর্যায়ে অতিরিক্ত মারধরের কারণে ইউএনও নিজেই ক্লান্ত হয়ে মাটিতে বসে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় বিষ্ণুপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে দুর্জয় ভিড়ের মধ্যে পড়ে ইউএনও’র গায়ে ধাক্কা লাগে। এ সময় ইউএনও প্রথমে জনসম্মুখে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং পরে আনসারের লাঠি নিয়ে পরিষদের ভেতরে নিয়ে গিয়ে বেধরক পেটান। এরপর তাকে একটি কক্ষে প্রায় ৪ ঘণ্টা আটক রাখা হয়। পরিবারের অনুরোধ ও মুচলেকা দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী দুর্জয় বলেন, ‘ধাক্কা লাগার পর স্যার আমাকে অনেক চড়-থাপ্পড় মারেন। পরে রুমের ভেতরে দরজা বন্ধ করে লাঠি দিয়ে মারেন। উপস্থিত লোকজন তার পায়ে ধরে মাফ চাইতে বলেন। আমি মাফ চাইলে বিকেলের দিকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এ ঘটনায় দুর্জয় গত ৭ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও রুয়েল সাংমার সঙ্গে ফোন ও ই-মেইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আটপাড়া থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন,
‘ঘটনার বিষয়ে আমরা আগে অবগত ছিলাম না। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যেহেতু ঘটনাটি কয়েক মাস আগের, হঠাৎ এখন কেন সামনে আনা হয়েছে, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...