Logo Logo

সুনামগঞ্জে বিজিবি’র উপর পৃথক হামলার মামলায় ৫জন গ্রেফতার


Splash Image

সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় পৃথক দুই ঘটনায় বিজিবি সদস্যদের ওপর সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীচক্রের হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলার পাঁচজন আসামিকে গত ১২ আগস্ট অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।


বিজ্ঞাপন


বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ বিকেলে ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) দোয়ারাবাজার উপজেলার পেকপাড়া বিওপির একটি টহল দল বাংলাবাজার ইউনিয়নের মোকামছড়া এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে একদল চোরাকারবারী ভারত থেকে অবৈধভাবে গরুর চালান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। টহল দল তাদের ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা ইটপাটকেল, বাঁশের লাঠি, হাসুয়া ও চাকু দিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।

পরে ২৪ মার্চ বিজিবির পক্ষ থেকে দোয়ারাবাজার থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা (মামলা নং-২৪/৭২) দায়ের করা হয়। ওই মামলার ৫ ও ৭ নম্বর আসামি—দোয়ারাবাজার উপজেলার পেকপাড়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৩২) ও একই গ্রামের লিচু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া (২৭)—কে ১২ আগস্ট স্থানীয় বিজিবির সহায়তায় গ্রেফতার করে পুলিশ।

অন্যদিকে, গত ৬ আগস্ট বিকেলে তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড় বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় একটি চিহ্নিত চোরাকারবারীচক্রকে ভারত থেকে অবৈধ পণ্য আনার সময় চ্যালেঞ্জ করলে তারা অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় বিওপি কমান্ডারসহ বিজিবি সদস্যরা আহত হন এবং টহলদলের একটি স্পিডবোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তাহিরপুর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা (মামলা নং-০৬, তারিখ: ০৬/০৮/২০২৫) দায়ের করা হয়। ওই মামলার ২, ৩ ও ৪ নম্বর আসামি—তাহিরপুরের লাউরগড় গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. আলী (২৫), সাহিদাবাদ গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে মো. আজবিরুল ইসলাম (২৫) ও লাউরগড় গ্রামের মোস্ত মিয়ার ছেলে মো. কাজী মিয়া (৩০)—কে ১২ আগস্ট পুলিশ গ্রেফতার করে।

২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার ভারত সীমান্তবর্তী প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকা ১৯টি বিওপির সদস্যরা সার্বক্ষণিক পাহারা দিয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে চোরাকারবারীদের হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হলেও, কঠোর অবস্থান ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে এসব অপরাধীর মনোবল ভেঙে পড়েছে। এর ফলে হামলার ঘটনা আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদক - খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...