Logo Logo

বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ

আজ ৮১ বছরে পা রাখবেন খালেদা জিয়া


Splash Image

ছবি : সংগৃহিত

বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী আজ। আজ ১৫ আগস্ট তিনি পা রাখবেন ৮১ বছরে।


বিজ্ঞাপন


১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট অবিভক্ত ভারত বর্ষের জলপাইগুঁড়ির নয়াবস্তির ছোট্ট শহরে বেগম জিয়ার জন্ম। পৃথিবীতে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা থেমেছে মাত্র। তখন শরতের স্নিগ্ধ ভোর। নতুন ফুটফুটে শিশু কন্যার আগমনে পরিবারের সবাই আনন্দিত। নাম রাখা হয় ‘শান্তি’। পরে মেঝ বোন সেলিনা ইসলাম পুতুলের মতো শিশুর নাম রাখেন ‘পুতুল’। পরবর্তী পর্যায়ে তার পরিবার দিনাজপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

১৯৬০ সালে তিনি দিনাজপুর সরকারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া করেন। কলেজে পড়ার সময় তত্কালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৯৬৫ সালে কলেজে ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়নকালে বেগম খালেদা জিয়া স্বামীর কর্মস্থল পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের স্বাধিকারকামী মানুষের ওপর নৃশংসরূপে ঝাঁপিয়ে পড়লে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে তত্কালীন মেজর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এমনি পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রামে কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ছোট্ট দুই ছেলেকে নিয়ে ১৬ মে নৌপথে ঢাকায় আসেন। বড় বোন খুরশীদ জাহান হকের বাসায় ২৭ জুন পর্যন্ত দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মগোপন করে থাকেন তিনি।

২ জুলাই পাকিস্তানি সেনারা দুই ছেলেসহ তাকে বন্দি করে। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি মুক্তি পান। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ১৯৮১ সালের ৩১ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যের হাতে শাহাদতবরণ করেন। ততদিন অবধি সাধারণ আটপৌরে গৃহবধূই ছিলেন তিনি। শেষ অবধি দলের নেতাকর্মীদের দাবির টানে ঘরের চৌহদ্দি ডিঙ্গিয়ে নামতে হয় তাকে রাজপথে। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। পরের বছরের মার্চে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি। ১৯৮৪ সালের ১০ মে খালেদা জিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেতা, আর রাজপথের অদম্য সংগ্রামী- তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক অনন্য প্রতীক। তকমা পেয়েছেন আপসহীন নেত্রীর!

খালেদা জিয়ার জীবনের বড় একটি অংশ কেটেছে কারাবাস, মামলার জটিলতা আর রাজপথের আন্দোলনে।

সমর্থকরা তাকে ‘গণতন্ত্রের মা’ বলে আখ্যা দেন, বিরোধীরা সমালোচনা করেন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। কিন্তু যে যেভাবেই দেখুক, এই দিনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন বেগম খালেদা জিয়া—যেন দেশের রাজনীতির এক অনিবার্য চরিত্র হয়ে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...