বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক ও সদস্য সচিব এম. কামরুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর প্যাডে এ বহিষ্কারাদেশ প্রদান করা হয়।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ছগির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমি ঢাকায় আছি, বহিষ্কারের বিষয়টি এলাকা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে, তবে আমি এ খবর শুনে আশ্চর্য হয়েছি, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, আমি দলের দুর্দিনের কর্মী, নির্যাতন সহ্য করে দলের হাল ধরে রেখেছি কোন সময় আওয়ামী লীগের সাথে আপোষ করিনি, আমি যদি কোন অপরাধ করে থাকি দল থেকে অন্তত আমাকে প্রাথমিক জবাবদিহি চাইতে পারতো, কিন্তু হঠাৎ করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত শুনে আমি হতভম্বিত হয়ে গেলাম, নিশ্চই এটা আমার সাথে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, পাথরঘাটা উপজেলা সদস্য সচিবের সাথে আমার কিছু মতের অমিল রয়েছে, হয় তো সে কারনেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, আমি এলাকায় এসে এ ব্যপারে সাংবাদিক সম্মেলন করবো, তখন সবকিছু উদ্ঘাটন করা হবে।
স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতা-কর্মীরা বলেন, ছগির হোসেন দলের একজন ত্যাগী কর্মী, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দল সিদ্ধান্ত নিবে বলে আমরা আশাকরি।
জানতে চাইলে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে খবর শুনেছি, তবে এ ব্যাপারে আমার সাথে কারো কোন যোগাযোগ হয়নি।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছগির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
-ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা, বরগুনা
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...